খালেদ আহমেদ :
আমার অগ্রজ আনারুল ভাই, শ্রদ্ধেয় রনেশ মৈত্র, শফিউর রহমান খান, তোতা ভাই, প্রসাদ রায়সহ যারা মারা গেছেন তাদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি। আর আত্ম সমালোচনা করছি যে এখন অনেকেই প্রেসক্লাবের সংকট এবং সমস্যা তৈরি করছে। একসময় এরকম বিরোধিতা আমার নিজের মধ্যেও তৈরি হয়েছিলো।
আমি প্রায় ১৮ বছর একটি পত্রিকার নির্বাহী পদে থেকে সব দায় দায়িত্ব পালন করার পরেও প্রেসক্লাবের সদস্য পদ থেকে শত ভাগ দুরে থেকেছি। আগ্রহ কেউ প্রকাশ করলেও আমি খুব জোরালো ভাবে না বলেছি। আমার চোখে এবং হৃদয়ে প্রেসক্লাব সার্বক্ষণ আছে। আমার রাজনীতি কারণে পক্ষ এবং বিপক্ষ থাকে। পাবনা প্রেসক্লাব সার্বজনীন, কারো পক্ষেও নাই কোন গোষ্ঠির স্বার্থেও নাই। আমি প্রেসক্লাবের সদস্য হলে আমাকে যারা অপছন্দ করে তারা যেন সমালোচনা করার সুযোগ না পায় সে চিন্তাতেই আমি দুরে থেকেছি।
যারা এখানে, তাদেরকে বিভিন্ন বিবেচনায় জাতীয় চিন্তাতেই সদস্য করা হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার ২ মে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় পাবনা প্রেসক্লাবের ভিআইপি অডিটোরিয়ামে ৩ দিনব্যাপী প্রেসক্লাবের গৌরব ও ঐতিহ্যের ৬৪ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর সমাপনী দিনে আলোচনা ও সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া’র বিশেষ সহকারী, জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের প্রধান সমন্বয়ক ও পাবনা জেলা সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক এড. শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
এর আগে প্রসক্লাবের সভাপতি আখতারুজ্জামান আখতার সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন।
এসময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন সাধারণ সম্পাদক জহুরুল ইসলাম, বিএনপি নেতা নুর মোঃ মাসুম বগা ও আবুল আহসান খান রেয়ন, প্রবীন সাংবাদিক ও সদস্য আব্দুর মতিন খান, সাবেক সভাপতি শিবজিৎ নাগ।
আরও উপস্থিত থেকে নেচে গেয়ে উৎফুল্ল চিত্তে অনুষ্ঠান উদযাপন করেন সাবেক সভাপতি এবিএম ফজলুর রহমান, সিনিয়র সহসভাপতি সনম রহমান ও সহসভাপতি এস এম আলাউদ্দিন, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মোখলেসুর রহমান বিপ্লব, সাবেক সাধারণ সম্পাদক উৎপল মির্জ ও আখিনুর ইসলাম রেমন, অর্থ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, দপ্তর সম্পাদক মনিরুজ্জামান শিপন, কল্যান সম্পাদক কলিট তালুকদার
সদস্য শহিদুর রহমান শহীদ, সুশিল কুমার তরফদার, হাবিবুর রহমান স্বপন, এমজি বিপ্লব চৌধুরী, ড. নরেশ মধু, কামাল আহমেদ সিদ্দিকি, জিকে সাদি, আরিফ আহমেদ সিদ্দিকি, রফিকুল ইসলাম সুইট, সারোয়ার উল্লাস, সুশান্ত কুমার সরকার, রাইসুল ইসলাম রিজভী জয়, মুস্তাফিজুর রহমান রাসেল, মাহফুজ আলম, শহীদুল ইসলাম রিজু, ইমরোজ খন্দকার বাপ্পি, আহমেদ উল কবীর তপু, আবু বক্কর সিদ্দিক,
সাবেক সভাপতি ফজলু’র স্ত্রী মাহবুবা কাজল, প্রবীর সাহা, এমএ সালামসহ প্রায় সকল সদস্যদের পরিবার।
ক্লাবের সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক ইয়াদ আলী মৃধা পাভেল’র সঞ্চালনায় বদ্যযন্ত্র বাজান পাবনার জনপ্রিয় ব্যান্ড অন্তহীন, লিটনের সাউন্ড সিস্টেমে বাউল গান করেন প্রথম আলোর ফটো সাংবাদিক হাসান মাহমূদ ডি, আধুনিক গান করেন আরমান বিশ্বাস রতন, ব্যান্ডের গান করেন রিজভী জয়, রবীন্দ্র সঙ্গিত পরিবেশন করেন শেখ তোজা ফাহমিদা চাঁদনি, কিশোর কুমারের আধুনিক গান করেন কৃঞ্চ লাল কর্মকার,
কবিতা আবৃত্তি করেন উৎপল মির্জা’র মেয়ে শিশু শিক্ষার্থী মির্জা আফিয়া জাহিন রূপকথা ও শিপন’র মেয়ে আব্দুল্লাহ আল জুবায়ের সাদ।
অনুষ্ঠানের শুরুতে কয়েকটি আধ্যাত্মিক গান করে মঞ্চ মাতান ক্লাবের সিনিয়র সহসভাপতি সনম রহমান
Leave a Reply