নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
নানা অনিয়মে জর্জরিত পাবনা সাবরেজিস্টার অফিস, বিপাকে সেবা নিতে আসা মানুষ, কোন প্রকার নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে দিনের পর দিন অফিসে অনুপস্থিত থাকেন পাবনা সদর সাবরেজিস্টার আশীষ কুমার সরকার। ইচ্ছে হলে অফিসে আসেন না হলে আসেন না কেন আসেন না তার কারন জানেনা অফিসের কেউ। ঈদ উল আজহা উপলক্ষে এবারের সরকারি ছুটি ছিলো। সে উপলক্ষে আজ অফিসের প্রথম দিন কিন্তু অফিসে গিয়ে সাবরেজিস্টার এর কক্ষে তালা ঝুলতে দেখা যায় পরে অফিসে হেড কার্ল্ক কে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন স্যারের সাথে আমার কোন কথা হয়নি কেন আসেনি জানিনা, একটুপর বলেন স্যার মেইল করে ছুটির দরখাস্ত পাঠিয়েছেন। দীর্ঘ ছুটির পর অফিসের প্রথম দিন স্টেশন না এসে ছুটির দরখাস্ত মেইল করতে পারেন কি না এ প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিতে পারেন নি। পরে বলেন আগামীকাল অর্থাৎ ১৭ই জুন বেলা দেরটায় অফিসে আসবেন।৷ অফিস টাইমে না এসে বেলা দেরটায় কেন আসবেন তারও কোন উত্তর তার জানা নেই।
শুধু সাবরেজিস্টার নয় অফিসের পেসকারও ছুটিতে আছেন, তাকে মোবাইল ফোনে কল করলে তিনি সাংবাদিকদের জানান লিখিতভাবে ছুটি নিয়েছেন সে কাগজ জেলা রেজিস্ট্রার অফিসে জমা দিয়েছেন। কিন্তু নিজ অফিসের কেউ তা জানেনা। সাবরেজিস্টার অফিসে অনুপস্থিত থাকার বিসয়ে তিনি কোন কথা বলতে রাজি হয়নি।
অফিসের এজলাস সহ বিভিন্ন কক্ষ ঘুরে দেখা যায় সিসিটিভি ক্যামেরা থাকলেও অজানা কারনে তা উল্টোদিকে প্রদক্ষিন করে রাখা হয়েছে। একজন সেবাগ্রহীতা বলেন অফিসের অন্যায় অনিয়ম ধামাচাপা দিতেই এসব ক্যামেরা ঘুরিয়ে রেখেছেন।
এদিকে জেলা দলিল লেখক অফিসে গিয়ে জানা যায় ২রা জুন ৪৮ টি দলিল হস্তান্তর করার জন্য ক্রেতা বিক্রেতা উপস্থিত ছিলেন সাবরেজিস্টার মহোদয় সকালে অফিসে এসে জেলা প্রশাসক এর কার্যালয়ে যান এবং পেসকার কে ফোনের মাধ্যমে জানান সব দলিল এজলাসে ওঠান আমি এসে সই করবো এরপর দুপুরের অফিসে না এসে না জানিয়ে চলে বাসায় যান। তারপর ঈদের আগে আসেনি। কেন আসেনি তা কেউ জানেনা।
অফিসের মহরা দুই রফিকুল ইসলাম এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমরা আমাদের দায়িত্ব পালন করি সময়মতো অফিসে আসি কাজ শেষে যাই। উর্ধতন কর্মকর্তাদের বিষয়ে আমরা কিছু বলতে পারবোনা।
দলিল লেখক রবিউল ইসলাম বলেন সাবরেজিস্টার মাসে প্রায় সময়ই অঘোষিতভাবে অনুপস্থিত থাকার কারনে আমাদের কাজ করতে ভীষন অসুবিধা হয়। এখানে অনেক টাকা পয়সার বিষয় যেমন দলিলে সই করার আগ মুহুর্তে বিক্রেতা ক্রেতার থেকে টাকা নিয়ে নেয় যার ফলে ২তারিখ রেজিস্ট্রার সাহেব আসার কথা বললে ৪৮ টি দলিলের টাকা আদান প্রদান হলেও সই না করার কারনে হস্তান্তর করা সম্ভব হয়নি।
আরেকজন বলেন, একজন বিক্রেতা ৪০ লক্ষ টাকার জমি বিক্রি করবে বলে দলিল সই এর জন্য তৈরী হলে ক্রেতার থেকে টাকা নিয়ে নেয় এবং সই না হলে বাড়িতে ফিরে যাওয়ার পর মারা যায় তাহলে এই ক্রেতার কি হবে। এতগুলো টাকা তার পরিবার যদি অস্বীকার করে। এমন অনেক সমস্যার মাঝে আমাদের প্রতিনিয়ত পরতে হয় আমরা উর্ধতন কে আপনাদের মাধ্যমে জানাতে চাই পাবনা সাবরেজিস্টার অফিস একটি গুরুত্বপূর্ণ ও সেনসেটিভ যায়গা তারা যেন অতিসত্বর এর সমাধান করেন।
এবিষয়ে সাবরেজিস্টার আশীষ কুমার সরকার এর সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়ায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
Leave a Reply