নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এর উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম আব্দুল-আওয়াল বলেছেন
২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান ছিল গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার এক ঐতিহাসিক অধ্যায়। সেই আন্দোলনের নেতৃত্বে ছিল দেশের তরুণ প্রজন্মের পাশাপাশি এদেশের আপামর জনসাধারণ। যারা নিজের জীবন বাজি রেখে স্বৈরশাসনের অবসান ঘটিয়েছিল। বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে মুক্ত চিন্তা ও গণতান্ত্রিক চর্চার জায়গা—এই চেতনাই আমরা শিক্ষার্থীদের মাঝে ছড়িয়ে দিতে চাই। ঐতিহাসিক জুলাই-আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান বার্ষিকী উপলক্ষে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পাবিপ্রবি) মঙ্গলবার, ৫ আগস্ট ২০২৫, দিনব্যাপী নানা আয়োজন করা হয়। জুলাই গনঅভ্যুত্থান এর প্রথম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে, স্মৃতিচারণ ও আলোচনা সভার বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন
তিনি আরও বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মচারীদের সমন্বয়ে আমরা এই দিবসটি স্মরণীয় করে রাখতে চাই। ভবিষ্যত প্রজন্ম যেন ইতিহাস ভুলে না যায়, সেটাই আমাদের দায়িত্ব।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের আয়োজনে সকাল ১০টায় প্রশাসন ভবনের সামনে থেকে একটি বর্ণাঢ্য বিজয় র্যালি বের হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে উপাচার্য ভবন এর সামনে এসে শেষ হয়।
এতে অন্যান্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন জুলাই উদযাপন কমিটির আহবায়ক অধ্যাপক কামরুজ্জামান খান, প্রক্টর কামরুজ্জামান খান, প্রশাসনিক কর্মকর্তা ফারুক হোসেন চৌধুরী সহ
বিশ্ববিদ্যালয়ের, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগীয় প্রধান, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা ও বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীবৃন্দ।
এরপর সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কনভেনশন হলে অনুষ্ঠিত হয় ‘জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান’ বিষয়ক শিশু চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা। এতে স্থানীয় বিভিন্ন বিদ্যালয়ের প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করে। দেশপ্রেম ও গণতন্ত্রের চেতনা বিকাশে শিশুদের এই অংশগ্রহণকে শিক্ষকরা গুরুত্বপূর্ণ বলে মন্তব্য করেন।
আলোচনা শেষে প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। এরপর সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত হয় এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানকে কেন্দ্র করে মাসব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবেই আজকের এ আয়োজন।
Leave a Reply