নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
পাবনা জেলা শহরের পৌর ১৫ নং ওয়ার্ডের কুঠিপাড়া এলাকায় “এবি ট্রাস্ট” কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত আলহাজ আহেদ আলী বিশ্বাস ডিগ্রি কলেজ অবশেষে একাডেমিক অনুমোদনের আশার আলো দেখতে শুরু করেছে। দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে অনুমোদনের অপেক্ষায় থাকা এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির আবেদন অবশেষে আমলে নিয়েছেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ।
আজ ২১ মে, বুধবার, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ হাছানাত আলীর নির্দেশে ও সরাসরি হস্তক্ষেপে কলেজটির বাস্তব অবস্থা পরিদর্শনের জন্য পাবনায় আসেন। তিনি নওগাঁ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন।
পরিদর্শনকালে ভিসি মহোদয় কলেজটির অবকাঠামো, শিক্ষার পরিবেশ ও পরিচালনা ব্যবস্থাপনা ঘুরে দেখেন এবং এবি ট্রাস্টের শিক্ষা বিস্তারে অবদানের প্রশংসা করেন। তিনি কলেজের সার্বিক অগ্রগতি ও শিক্ষার মান দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেন। একইসাথে, এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির প্রতি গত ১৭ বছর ধরে চলা অনুমোদন-প্রক্রিয়ায় বৈষম্যমূলক আচরণে গভীর বিস্ময় প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, “এত সুন্দর ও শিক্ষার জন্য প্রস্তুত একটি প্রতিষ্ঠান এতদিন অনুমোদন থেকে বঞ্চিত থাকবে—এটি দুঃখজনক। অবিলম্বে যথাযথ প্রক্রিয়ায় অনুমোদন দেওয়ার বিষয়ে আমি উদ্যোগ নেব।”
কলেজটির সংক্ষিপ্ত পরিচিতি:
এবি ট্রাস্ট পরিচালিত আলহাজ আহেদ আলী বিশ্বাস ডিগ্রি কলেজটি ১৯৯৯ সালে স্থাপিত হয় এবং ২০০৭ সালে সরকারি করনে আবেদন করা হলেও ১৭ বছর এর কোন সুরাহা হয়নি। স্থানীয় শিক্ষানুরাগী ও সমাজসেবক আলহাজ আহেদ আলী বিশ্বাসের স্মৃতিকে সম্মান জানিয়ে এটি প্রতিষ্ঠা করা হয়। কলেজটি প্রতিষ্ঠার পর থেকেই একাডেমিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্তি পাওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছে। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে কলেজটিতে উচ্চ মাধ্যমিক ও স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষা চালু রাখার জন্য শিক্ষক-কর্মচারীরা নিরলস পরিশ্রম করে আসছেন।
সম্ভাবনার দিগন্ত:
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধির সরেজমিন পরিদর্শন এবং ইতিবাচক সাড়া পাবনায় উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে বলে মনে করছেন স্থানীয় অভিভাবক, শিক্ষার্থী ও সচেতন মহল। কলেজটির একাডেমিক অনুমোদন পেলে জেলার শিক্ষার্থীরা পাবনা শহরেই উচ্চশিক্ষার একটি শক্তিশালী বিকল্প পাবে বলে মনে করেন অভিভাবকরা।
Leave a Reply