ড.মনছুর আলম(বিশেষ প্রতিনিধি): ইছামতি নদী উদ্ধার আন্দোলন পাবনার উপদেষ্টা বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও দানবীর অধ্যক্ষ আলহাজ মাহাতাব উদ্দিন বিশ্বাস বলেন আমাদের দীর্ঘদিনের আন্দোলন এর ফসল ইছামতী নদী উদ্ধার করে তা খননের মাধ্যমে পুনরুজ্জীবিত করা কাজেই এ বিষয়ে কেউ বাঁধা দিতে আসলে আমরা পাবনাবাসীকে সাথে নিয়ে রুখে দাড়াবো। তিনি আরো বলেন শুধু ইছামতি খনন নয় এ জেলা আমাদের তাই ভালোমন্দ দেখভালের দায়িত্ব সকল জনগনের আমি একজন সুনাগরিক হিসেবে মনে করি পাবনার উন্নয়নে সকলে সহযোগিতা অনুশীকার্য
গত মঙ্গলবার সকাল ১১টায় ঐতিহ্যবাহী পাবনা ইছামতি নদী খনন কাজের অগ্রগতি পর্যবেক্ষণে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন, এসময় নদী খনন কাজ দেখে খুব খুশি হন এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর
জন্য দোয়া করেন। তিনি বলেন, অতীতে বেশ কয়েকবার এই ইছামতি নদী খনন করার জন্য অর্থ বরাদ্দ হয়েছে। কাজের কাজ কিছুই হয়নি। এবার সেনাবাহিনীর মাধ্যমে যেভাবে কাজ করা হচ্ছে তাতে পাবনাবাসীর
কাংঙ্খিত ইছমতি নদী পুনরুজ্জীবিত হবে। তিনি বলেন, নদী খনন কাজে কোনো প্রতিবন্ধকতা সহ্য করা হবে না, তবে যারা প্রকৃতপক্ষে ক্ষতিগ্রস্থ তাদের জন্য সরকার অর্থ বরাদ্দ রেখেছেন। আমরা পাবনার উন্নয়নের পক্ষে আছি থাকবো ইনশআল্লাহ। জেলার আটঘরিয়া উপজেলা গয়েশপুর ব্রিজের নিকট পৌঁছালে কর্মরত সেনাবাহিনীর ২৪
ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্রিগেড এবং এমএস আহাদ বিল্ডার্সের
কর্মকর্তাগণ নেতৃবৃন্দকে স্বাগত জানান। অতপর তাঁরা নেতৃবৃন্দকে ইছামতি নদীর বিভিন্ন পয়েন্ট ঘুরে ঘুরে দেখান। ইছামতি নদী খনন কাজের শুরুর পয়েন্ট অর্থাৎ সাঁথিয়া উপজেলার মাথপুরের পাশে জগন্নাথপুর ইছামতি নদী দেখিয়ে তাঁরা পর্যবেক্ষক দলকে বিদায় জানান। সেনাবাহিনীর সূত্র মতে,বর্তমানে ১৪৬ টি ভেক্যু সকাল থেকে সন্ধ্যা অবধি একটানা খনন কাজ করছে। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এমএস আহাদ বিল্ডার্স খনন কাজ করছে এবং তত্ত্বাবধান করছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্রিগেড। কাজের শেষ সীমা ধরা হয়েছে ৩১ মার্চ ২০২৭ খ্রি. পর্যন্ত। জানা যায়, খুব শীঘ্রই পাবনা শহরের মধ্যে খনন কাজ শুরু করা হবে। পরিদর্শনে অন্যান্যদের মাঝে অংশ নেন নদী পর্যবেক্ষণে যান, ইছামতি নদী উদ্ধার আন্দোলন পাবনার সভাপতি ও বেলার নেটওয়ার্ক সদস্য এস এম মাহবুব আলম,
তিনি বলেন আমাদের দীর্ঘ প্রায় এক যুগের আন্দোলন এর ফসল এই নদী উদ্ধার কার্যক্রম একন নদী খনন হচ্ছে দেখে আমরা যেমন আনন্দিত তেমনই আমরা চাই কাজ দ্রুত গতিতে সুন্দর ভাবে শেষ হোক আমরা যেন পরবর্তী প্রজন্ম কে একটা প্রবাহমান নদী উপহার দিয়ে যেতে পারি সেজন্য সকলের সহযোগিতা কামনা করি এসময় তিনি এই আন্দোলন সংশ্লিষ্ট যারা ছিলেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান এবং বলেন আমরা পাবনাবাসী মহামান্য রাস্ট্রপতির নিকট বিশেষ কৃতজ্ঞ যে তাঁর ঐকান্তিক ইচ্ছা পোষনের মাধ্যমে আমাদের এই কাজ সহজ হয়েছে এবং সেনাবাহিনীর প্রতি জনগনের পূর্ণ আস্থা আছে আমরা আশা করি এই কাজটি সুন্দর ভাবে সম্পন্ন হবে। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন ইছামতী নদী উদ্ধার আন্দোলন এর সহ সভাপতি জাতীয়তাবাদী মহিলা দল পাবনার সভাপতি পূর্ণিমা ইসলাম, রিভারাইন পিপল পাবনার সভাপতি ও নদী গবেষক ড. মো.মনছুর আলম, ইছামতি নদী উদ্ধার আন্দোলন পাবনার প্রচার সম্পাদক ও বেলার নেটওয়ার্ক সদস্য শফিক আল কামাল, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. আল আমিন, সর্ব সদস্য রানা গ্রুপের জেনারেল ম্যানেজার মোনায়েম খান, প্রধান শিক্ষক বুরহানুল ইসলাম, সহকারী শিক্ষক সৈয়দ ছাইফুল ইসলাম, দৈনিক আনন্দ বাজার প্রতিনিধি শিশির ইসলাম, দৈনিক ভোরের দর্পণ জেলা প্রতিনিধি হুমায়ুন রাশেদ, সিএনএফ টিভির চেয়ারম্যান খালেদ আহমেদ, সাংবাদিকসাইফুল ইসলাম, নদীকর্মী মনোয়ারা পারভীন, নীল বিশ্বাস প্রমুখ। উল্লেখ্য,ইছামতি নদী পুনরুজ্জিবীতকরণ এই মেগা প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ ধরা হয়েছে ১ হাজার ৫৫৪ কোটি টাকা।
Leave a Reply