বিশেষ প্রতিনিধিঃ
মাদকের কারবারি করে রাতারাতি আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ হয়েছেন পাবনার ফরিদপুরের বিএল বাড়ী ইউনিয়নের বিএলবাড়ী গ্রামের মনিরুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি। তিনি ইয়াবা,গাঁজাসহ বিভিন্ন ধরণের মাদকের ব্যবসা করে কামিয়ে নিচ্ছেন লাখ লাখ টাকা। সম্প্রতি মাদক কিনতে গিয়ে ভাঙ্গুড়া উপজেলার কনা খাতুন (২৫) মাদকসেবী গৃহবধূকে আটক করা পর এমন অভিযোগ করে বিক্ষুদ্ধ এলাকার জনতা মানববন্ধনও করেছেন। মানববন্ধনে বক্তারা মনিরুল মাদককারবার করে সমাজের উঠতি বয়সের তরুন থেকে শুরু করে সকল বয়সী মানুষদের হুমকির মুখে ফেলে দিচ্ছেন বলেও তারা অভিয়োগ করেন। মনিরুল ইসলাম ফরিদপুরের বিএলবাড়ি খারাপাড়া গ্রামের পিতা: মো. আব্দুস সামাদ এর পুত্র।
এর আগে ৩ মে শনিবার রাত আনুমানিক ৮.৩০ মিনিটে পাবনার ফরিদপুর উপজেলার বিএল বাড়ী ইউনিয়নের বিএলবাড়ী গ্রাভমে এ ঘটনা ঘটে। রাতের এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একাধিক ভিভিও প্রকাশ করা হয়েছে।
শনিবার দিবাগত রাত আনুমানিক ৮.৩০ মিনিটে পাশ্ববর্তী ভাঙ্গুড়া উপজেলার মাদকসেবী গৃহবধূ কনা খাতুন (২৫) বিএল বাড়ী গ্রামের মাদককারবারি মনিরল ইসলাম বাড়ি থেকে ইয়াবা করতে যায়। মাদককারবারি মনিরল ইসলাম ইয়াবা ডেলিভারী দেবার জন্য গ্রামের মাঠে একটি ঘাষের জমিতে নিয়ে যায়। মনিরল ইসলাম এবং মাদকসেবী গৃহবধুর গতিবিধি সন্দেহজনক হলে স্থানীয় জনতা তাদের আটক করে ।
জনতার হাতে আটক হওয়া ওই গৃহ বধু জানান, তিনি ৩ হাজার টাকা নিয়ে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে মনিরুল ইসলাম ইয়াবা নিতে যেতে বলেন। সেই কথা মতো ওই গৃহবধু মাদক নিয়ে গিয়ে জনতার হাতে ধরা পড়েন। এ সময় বিক্ষুদ্ধ জনতার উপস্থিতি টের পেয়ে মনিরুল ইসলাম পালিয়ে যায়। মনিরুল ইসলামকে স্থানীয় জনতা আটক করতে না পারলেও মাদকসেবী গৃহবধু কে আটক করলে স্থানীয় ইউপি সদস্যগণ নিরাপত্তার জন্য মাদককারবারি মনিরুল ইসলামের বাড়ীতে রাত্রে আটকে রাখা হয়। সকালে ফরিদপুর থানা পুলিশকে অবহিত করলে সকাল ১১ দিকে আটককৃত মাদকসেবী গৃহবধু কনা খাতুন (২৫),থানা পুলিশ নিরাপত্তা হেফাজতে নেয়।
এ সময় মাদককারবারি মনিরল ইসলামের বসতঘর তল্লাশী করে একটি অটোমেটিক চাকু মাদক মাপার যন্ত্র মাদকসেবনে ব্যহৃত কটনবাট ,বাড়ীর চারপাশের সিসি ক্যামেরা হার্ডডিক্স জব্দ করা হয়।
বিএলবাড়ী গ্রামের আসলাম কবির লিটন বলেন, মনিরল ইসলাম এই এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। সে একাধিকবার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হলেও অদৃশ্য কারণে ছাড়া পেয়ে আবারো মাদক কারবারে যুক্ত হয়েছে। সে মাদেেক ব্যবসা করে রাতারাতি আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়েছে। কিছুদিন আগেও তাদের তেমন কিছুিই ছিল না।
অপর গ্রাম প্রধান আইনুল হক প্রামানিক বলেন, একাধিকবার গ্রেপ্তার হলেও আবার এসে কারবার শুরু করে। সে ছিলো গরীব মানুষ এখন তার বাড়ীর চার পাশে সিসি টিভি সহ আলিশান বাড়ী এবং রাজকিয় চলাফেরা করছে মাদক ব্যবসা করে।
এ ব্যাপারে মনিরল ইসলাম বাবা বলেন ছেলে ঢাকায় থাকতো দের বছর হলো বাড়ীতে এসে লোক মুখে শুনি কিসব বিক্রি করে আর খায়।
এ ব্যপারে অভিযুক্ত মনিরুল ইসলাম পলাতক থাকায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয় নি।
ফরিদপুর থানার ওসি জানান, ১৪৪ ধারায় মাদকসেবী গৃহবধু কে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। পরবর্তী মাদক কারবারী মনিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে আইনী প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
Leave a Reply