বিশেষ প্রতিনিধি
গরুর খাঁটি দুধ থেকে প্রথমে ক্রিম তুলে নেওয়া হয়। এরপর সাদা পানিতে মেশানো হয় কস্টিক সোডা, সয়াবিন তেল ও চিনি। তৈরি হয়ে যায় ঘন ভেজাল দুধ। পরে এই দুধ বাজারজাত করা হয়।
আজ শুক্রবার পাবনার সাংবাদিকদরা অনু সন্ধান চালিয়ে এমনই নকল দুধ তৈরির একটি কারখানার সন্ধান পেয়েছে।
এ সময় নকল দুধ তৈরি চক্রের একজন কে হতে নাতে নকল দুধ তৈরির বিভিন্ন সরঞ্জাম সহ পায়।
অভিযুক্ত ব্যক্তির হাসান খা পিতা- ওসমান খা বাড়ি চাটমোহর উপজেলার বেজপাড়া গ্রামে। নিজ বাড়িতেই তিনি কারখানাটি গড়ে তুলেছিলেন। তাঁকে ভেজাল দুধ তৈরির কাজে সহযোগিতা করতেন বাড়ীর অন্য সদস্যরা।
নকল দুধের কারখানাটি ব্যাপারে চাটমোহর থানার ভারপ্রাপ্ত বর্মকর্তাকে অবহিত করা হলে তিনি ইউ এনও মহোদয়কে বিষয়টি অবগত করতে বলেন
দুধের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় ভেজাল দুধ তৈরি হচ্ছে। কারখানাটিতে খাঁটি দুধ থেকে মেশিনের মাধ্যমে প্রথমে ক্রিম তুলে নেওয়া হতো। এরপর পাতলা দুধে কস্টিক সোডা, সয়াবিন তেল , চিনি ও পানি মিশিয়ে ভেজাল দুধ তৈরি করা হতো।
চাটমোহর থানার ইউএনও মহোদয়কে বিষয়টি অবগত করলে তিনি বলেন, আমরা ব্যাবস্থা গ্রহন করছি।
স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এখান থেকে বিভিন্ন এলাকায় বিভিন্ন কোম্পানিতে দুধ সরবরাহ করা হয়। অন্যদিকে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ওই এলাকা থেকে দুধ সংগ্রহ করে। এ সুযোগে বেশ কয়েকটি চক্র ভেজাল দুধের রমরমা ব্যবসা শুরু করছে।
ভেজাল দুধ তৈরিতে ব্যবহৃত কস্টিক সোডা মানবদেহের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। দুধের মূল উপাদান সরিয়ে এ ধরনের ক্ষতিকর পদার্থ দিয়ে ভেজাল দুধ তৈরি করায় মানুষ প্রতারিত ও স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়ছেন। অন্যদিকে ভেজাল দুধের কারবারিদের কারণে প্রকৃত খামারিরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। তাই তাঁদের বিরুদ্ধে আরও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুসা নাছের বলেন, ‘ভেজাল বন্ধে প্রায়ই অভিযান চালানো হচ্ছে। বিভিন্নভাবে সচেতন ও সতর্ক করা হচ্ছে। আমরা বিষয়টি আরও খোঁজখবর নেব।
Leave a Reply